মৃগী রোগ: শিশুদের হঠাৎ খিঁচুনি হলে করণীয়

মৃগী নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ, যাতে খিঁচুনি হয়। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও জিনগত কারণকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া আঘাত, স্ট্রোক, মস্তিষ্কে সংক্রমণ ও জন্মগত ত্রুটি প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সত্তর থেকে আশির ভাগ রোগীকে ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাকি বিশ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জটিল।
//অনলাইন এ মেডিসিন অর্ডার করতে ভিজিট করুন →
মৃগী রোগ
নিউরোন হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের সেল। ১০০ বিলিয়ন নিউরোন সেল নিয়ে মস্তিষ্ক গঠিত হয়। এসব সেল দিয়ে একটি নিউরোন আরেকটি নিউরোনের সাথে বাঁধাই করে। মস্তিষ্কের তড়িৎ প্রবাহ একটি নিউরোন থেকে আরেকটি নিউরোনের মধ্যে যায়। একটি নিউরোন আরেকটি নিউরোনের সাথে বাঁধাইয়ের স্থানকে বলা হয় সিন্যাপ্স। এ সিন্যাপ্সের মধ্য দিয়ে যখন তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয়, তখন কখনো কখনো অত্যধিক তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয়। এ সময় সংযোগস্থলে অনেক বেশি তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হওয়ার জন্য একটি বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়। এ অস্বাভাবিক তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হওয়ার জন্য যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয় এবং সেটার জন্য শরীরে যে ঝাঁকুনি হয়, সেটিকে বলা হয় খিঁচুনি। শিশুদের এই খিঁচুনি যদি চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বা ততোধিকবারে হয়, তাহলে সেটিকে মৃগী রোগ বলে।
সারা শরীরে খিঁচুনি হলে সাধারণ মৃগী রোগ বলা হয়। যদি শরীরের একপাশে খিঁচুনি হয়, সেটাকে বলে ফোকালেপসি। খিঁচুনি কখনো কখনো শরীরের এক অংশ থেকে শুরু হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের শরীরজুড়ে খিঁচুনি ও একপাশের খিঁচুনির মধ্যে বড় একটি তফাৎ রয়েছে। সারা শরীরে খিঁচুনি দ্রুত চিকিৎসা করলে সহজে নিরাময় হয়। অন্যদিকে একপাশের খিঁচুনি ওষুধ দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্??